আপনার ছেলে-মেয়ে বা ছোট ভাই-বোন যদি খেলাধুলার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়, তবে তাকে চেষ্টা করুণ বিকেএসপিতে ভর্তি করাবার। সেও হতে পারে বাংলাদেশের একজন স্টার, বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে চিনবে তার সুখ্যাতির জন্য। কারন আপনি হয়ত জানেন যে, দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকা খেলোয়াড়দের অধিকাংশই তৈরি হয় বিকেএসপি থেকে। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস বা সাঁতার সবখানেই তারকা খেলোয়াড়ের বেশির ভাগই বিকেএসপির শিক্ষার্থী। জাতীয় ক্রিকেট দলের মুশফিকুর রহিম, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় দলের ফুটবলার এমিলি, হাসান আল মামুন, মাসুদ রানা, হকি খেলোয়াড় জিমি, শ্যুটার আসিফ হোসেন, শারমীন আক্তার—এরা সবাই বিকেএসপির আবিষ্কার।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)
ঢাকার সাভারের জিরানিতে (ঢাকা ইপিজেড-চন্দ্রা রোডে) ১১৫ একর জমির ওপর বিকেএসপি প্রতিষ্ঠিত। আনুষ্ঠানিকভাবে এর পথচলা শুরু হয় ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল। বর্তমানে দেশের চারটি স্থানে রয়েছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র। খুলনা, দিনাজপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামের এসব আঞ্চলিক কেন্দ্রে পড়াশোনা ও খেলাধুলা করার সুযোগ রয়েছে। সাভারের মূল কেন্দ্র এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো মিলিয়ে মোট ১৭টি খেলা শেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। মোট ১৭টি খেলার মধ্যে ঢাকা মূল কেন্দ্রে শেখানো হয় ১২টি বিষয়ে। খেলাধুলার এসব বিষয় হচ্ছে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, আর্চারি, বাস্কেটবল, বক্সিং, জুডো, জিমনেসটিকস, শ্যুটিং ও টেনিস। এসব খেলার কিছু অংশ ছাড়াও আঞ্চলিক কেন্দ্রে নতুন খেলা হিসেবে আছে তায়কোয়ান্দো, টেবিল টেনিস, উশু, কারাতে ও ভলিবল। খুব তাড়াতাড়ি চালু হতে পারে কাবাডি ও গলফ খেলা।
ভর্তি সংক্রান্ত কিছু তথ্য-
প্রতি বছরের শেষ দিকে পত্রিকা, টিভি এবং তাদের ওয়েবসাইটে ভর্তির সার্কুলার/বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর আবেদন ফরম নিয়ে পূরণ করে জমা দিতে হয়। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। তবে কিছু খেলায় তৃতীয় শ্রেণী থেকে ভর্তি নেওয়া হয়। এরপর আবেদনপত্র থেকে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের ডাকা হয় নির্ধারিত দিনে। মূলত দেখা হয় তার খেলার যোগ্যতা। ভালো শিক্ষার্থীদের বাছাই করে মেডিকেল চেকআপের পর ভর্তি করিয়ে নেওয়া হয় বিকেএসপিতে। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পড়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। মূলধারার পাঠ্যবই পড়েই একাডেমিক পরীক্ষায় বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। সম্পূর্ণ আবাসিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা থাকেন। ভর্তি হতে ফি, পোশাক ও খেলার জিনিসপত্র (বিকেএসপি থেকে দেয়া লিস্ট অনুযায়ী), জামানত ফি (ফেরতযোগ্য) বাবদ সর্বমোট ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো লাগে (এটা পরিবর্তন হতে পারে)। আছে মাসিক বেতন,মাসিক বেতন নির্ভর করে অভিভাবকের আয়ের ও পরিবারের সদস্য সংখার উপর। প্রতিবছর একেকটি খেলায় যে কয়টি আসন খালি হয়, তার বিপরীতেই শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। এছাড়াও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত নিয়ম কানুন জানতে বিকেএসপি র ওয়েবসাইট ভিজিট করুণ।
এছাড়া বিকেএসপি সম্পর্কে জানা যাবে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- http://www.bksp-bd.org/ থেকে।
এবং বিকেএসপি সম্পর্কে জানা যাবে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে- https://www.facebook.com/BKSP.Savar
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)
ঢাকার সাভারের জিরানিতে (ঢাকা ইপিজেড-চন্দ্রা রোডে) ১১৫ একর জমির ওপর বিকেএসপি প্রতিষ্ঠিত। আনুষ্ঠানিকভাবে এর পথচলা শুরু হয় ১৯৮৬ সালের ১৪ এপ্রিল। বর্তমানে দেশের চারটি স্থানে রয়েছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র। খুলনা, দিনাজপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামের এসব আঞ্চলিক কেন্দ্রে পড়াশোনা ও খেলাধুলা করার সুযোগ রয়েছে। সাভারের মূল কেন্দ্র এবং আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো মিলিয়ে মোট ১৭টি খেলা শেখার সুযোগ রয়েছে এখানে। মোট ১৭টি খেলার মধ্যে ঢাকা মূল কেন্দ্রে শেখানো হয় ১২টি বিষয়ে। খেলাধুলার এসব বিষয় হচ্ছে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, আর্চারি, বাস্কেটবল, বক্সিং, জুডো, জিমনেসটিকস, শ্যুটিং ও টেনিস। এসব খেলার কিছু অংশ ছাড়াও আঞ্চলিক কেন্দ্রে নতুন খেলা হিসেবে আছে তায়কোয়ান্দো, টেবিল টেনিস, উশু, কারাতে ও ভলিবল। খুব তাড়াতাড়ি চালু হতে পারে কাবাডি ও গলফ খেলা।
ভর্তি সংক্রান্ত কিছু তথ্য-
প্রতি বছরের শেষ দিকে পত্রিকা, টিভি এবং তাদের ওয়েবসাইটে ভর্তির সার্কুলার/বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর আবেদন ফরম নিয়ে পূরণ করে জমা দিতে হয়। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। তবে কিছু খেলায় তৃতীয় শ্রেণী থেকে ভর্তি নেওয়া হয়। এরপর আবেদনপত্র থেকে বাছাই করা শিক্ষার্থীদের ডাকা হয় নির্ধারিত দিনে। মূলত দেখা হয় তার খেলার যোগ্যতা। ভালো শিক্ষার্থীদের বাছাই করে মেডিকেল চেকআপের পর ভর্তি করিয়ে নেওয়া হয় বিকেএসপিতে। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পড়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। মূলধারার পাঠ্যবই পড়েই একাডেমিক পরীক্ষায় বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। সম্পূর্ণ আবাসিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা থাকেন। ভর্তি হতে ফি, পোশাক ও খেলার জিনিসপত্র (বিকেএসপি থেকে দেয়া লিস্ট অনুযায়ী), জামানত ফি (ফেরতযোগ্য) বাবদ সর্বমোট ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো লাগে (এটা পরিবর্তন হতে পারে)। আছে মাসিক বেতন,মাসিক বেতন নির্ভর করে অভিভাবকের আয়ের ও পরিবারের সদস্য সংখার উপর। প্রতিবছর একেকটি খেলায় যে কয়টি আসন খালি হয়, তার বিপরীতেই শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। এছাড়াও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত নিয়ম কানুন জানতে বিকেএসপি র ওয়েবসাইট ভিজিট করুণ।
এছাড়া বিকেএসপি সম্পর্কে জানা যাবে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- http://www.bksp-bd.org/ থেকে।
এবং বিকেএসপি সম্পর্কে জানা যাবে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে- https://www.facebook.com/BKSP.Savar
No comments:
Post a Comment